কচ্ছপ খাওয়া ও শারীরিক ক্ষতি



কচ্ছপ আন্তর্জাতিক ভাবে একটি বিলুপ্ত প্রায় প্রানী হলেও ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিষিদ্ধ ভাবে এদের ধরে বিক্রয় করা হয়। সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ হলে ও  SAARC  এর অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলির অনেক শহরের শীতকালীন বাজারে এদের মাংস এবং ডিম বিক্রি হয়। শুধু তাই নয়, ছোট নদীর তীরে বা গ্রামাঞ্চলে কোন বড় পুকুরে পাওয়া কচ্ছপ বা কাছিমের পরিনতি ও এক ই হয়, বরং এক্ষেত্রে আর ও দ্রুত ভাবে  স্থানীয় বাজারে চড়া দামে  বিক্রীত হয়ে যায়। টেলিভিশন, নিউজপেপার বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে এমন খবর বের হলে সার ফলাফল কিন্তু শুন্য। বন দপ্তর, পরিবেশ দপ্তর এবং পুলিশের সঙ্গে সক্রিয় হতে হবে সাধারণ মানুষ কে। এমনিতে ই উপযুক্ত বাসস্থানের অভাব, প্রতিকূল পরিবেশ এবং সংরক্ষণ বিষয়ে যথেষ্ট গবেষণার অভাব এদের অস্তিত্ব কে সংকটজনক অবস্থায় ফেলেছে। তবে আশার আলো দেখিয়েছেন কিছু গবেষক, বন আধকারিক এবং পরিবেশ প্রেমী। 

কচ্ছপ ধ্বংসের মূল কারণ হল এর খাদ্য গুন হিসেবে কিছু ভ্রান্ত ধারণা। তবে আধুনিক গবেষণা অনুসারে এর খাদ্য গুন তো নেই বটেই বরং এদের মাংস এবং ডিম খেলে বিভিন্ন  শারীরিক ক্ষতি  হওয়া প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞানী দের একটি দল পর্যবেক্ষণ করেন যে এদের দেহতলে এমন কি পেশী তে Salmonella গণের কিছু প্রজাতি থাকে যা মানব দেহের পক্ষে ক্ষতিকর। নদী বা সমুদ্রের কচ্ছপে বিভিন্ন  প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, ডায়াটম থাকে যারা মানবদেহে ডাইরিয়া সহ বিভিন্ন অন্ত্রজনিত রোগের  উদ্রেক ঘটায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কচ্ছপ মূলত দূষিত পরিবেশ এ থাকে, তাই এদের দেহে ক্ষতি কারক উপাদান বা রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু থাকার সম্ভাবনা অমূলক নয়। এছাড়াও কচ্ছপ এর মাংসে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে, যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এদের পেশীতে ক্ষতিকর বিশাক্ত ধাতব এবং অধাতব মূলকের উপস্থিতি ও খুজে বের করেছেন কিছু গবেষক।  






Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

Basic types of fungal nutrition (FOR UG/PG STUDENTS)